বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এখন আর ইনকাম করতে বড় পুঁজি বা ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন নেই। শুধু একটি স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই আপনি অনলাইনে আয় শুরু করতে পারেন।
বিশেষ করে যারা নতুন, তাদের জন্য বিনা টাকায় ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব বিনা টাকায় ইনকাম করার জনপ্রিয় ৭টি উপায় নিয়ে।
বিনা টাকায় ইনকাম করার উপায়
বিনা টাকায় ইনকাম বলতে সাধারণত টাকা ইনভেস্ট না করে ইনকাম করাকে বোঝায়। অর্থাৎ আপনি নিজের যোগ্যতায় টাকা ছাড়াই কোন কাজ করে ইনকাম করতে পারছেন। মূলত ইনভেস্ট না করে ইনকাম করাই হলো বিনা টাকায় ইনকাম।
যারা মূলত বড় বড় ইনভেস্ট না করে অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যম থেকে আয় করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা এমন কিছু উপায় তুলে ধরব যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি বিনা টাকায় আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।
বিশেষ করে যারা স্টুডেন্ট রয়েছেন তাদের জন্য সহজ উপায় শেয়ার করব, যেগুলো ঘরে বসে করে স্টুডেন্টরা পার্ট টাইম ইনকাম করতে পারবে। এবার চলুন বিনা টাকায় ইনকাম করার জনপ্রিয় ৭ টা উপায় দেখে আসি।
১. ফ্রিল্যান্সিং
বিনা টাকায় ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের যোগ্যতা কে কাজে লাগিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রিতে কাজ করে ইনকাম করতে হয়। যদি আপনার যোগ্যতা থাকে তাহলেই এই সেক্টর থেকে আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো ভাগ রয়েছে, যেখানে অসংখ্য কাজ আছে। আপনি যদি সেই কাজগুলোতে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে নির্দ্বিধায় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ইনকাম শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ১০০% ফ্রিতে টাকা ইনভেস্ট ছাড়াই কাজ করে ইনকাম করা যায়।
আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপস
আরো পড়ুনঃ ছবি বিক্রি করে ইনকাম করার সাইট
তবে আপনি ফ্রিতে কাজ করে যত টাকা আয় করবেন, তার কিছু অংশ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলো চার্জ হিসাবে নিয়ে থাকে। এই চার্জ সাধারণত 5 থেকে 10% হয়ে থাকে। যা খুব একটা বেশি নয়। তাহলে বুঝতে পারছেন বিনা টাকায় উপার্জন করতে হলে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং মাধ্যমকে নির্বাচন করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক কাজ রয়েছে , আপনার ইচ্ছামত সেই কাজগুলো শিখে আপনি ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইটগুলোতে একাউন্ট খুলে কাজ করে আয় করতে পারবেন। আর ফ্রিল্যান্সিং করে সর্বনিম্ন প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই লাখ টাকার বেশি উপার্জন করা যায়।
যদি আপনার ফ্রিল্যান্সিং লেভেল অনেক উচ্চমানের হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ইনকাম পাঁচ লক্ষ পর্যন্ত ছড়াতে পারে। আশা করছি বুঝতে পারছেন। তাই সকলকে বলবো বিনা টাকায় আয় করার জন্য নিজেরা কিছু দক্ষতা অর্জন করুন, বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে দক্ষতা অর্জন করবেন।
আর ধীরে ধীরে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে থাকুন। নিশ্চয়ই সফল হবেন। আর একটা কথা শুনে রাখুন, আপনারা চাইলে Fiverr, Upwork, Freelancer এর মতো প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট খুলে কাজ শুরু করতে পারেন।
২. ব্লগিং
সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্টমেন্ট করে যদি ইনকাম করার ইচ্ছা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনারা নির্দ্বিধাই ঘরে বসে ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্লগিং সেক্টরে সফল হতে হলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। নিয়মিত ইউনিক কনটেন্ট লেখালেখি করে পাবলিশ করতে হয়।
তারপর ধীরে ধীরে নিজের ওয়েবসাইটে ভিজিটের সংখ্যা, গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করা যায়। আর আপনারা জানেন ব্লগিং সেক্টরে গুগল এডসেন্স থেকে ভালো পরিমাণ আর্নিং করা যায়। যদি আপনি সঠিকভাবে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তাহলেই এই সেক্টর থেকে আয় করতে পারবেন।
যারা সামান্য কিছু টাকা খরচ করে অনলাইন থেকে আয় করতে চাচ্ছেন, তাদেরকে বলব ব্লগিং করা শুরু করুন। কারণ ব্লগিং করার জন্য বড় আকারের পুঁজি বা ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হয় না।
আপনি 1000 থেকে 2000 টাকা খরচ করেই একটি আকর্ষণীয় ব্লগিং সাইট তৈরি করতে পারবেন এবং সেখানে আর্টিকেল লেখালেখি করে বিনা টাকা ইনভেস্ট করে আয় করতে পারবেন। মূলত ব্লগিং সেক্টরে খুব কম পরিমাণে ইনভেস্ট করতে হয়, কিন্তু আপনি যদি কাজ করেন তাহলে ইনভেস্টমেন্ট এর খরচ সহ এক্সট্রা আর্নিং করতে পারবেন।
যারা একদমই ফ্রিতে ইনকাম করতে চাচ্ছেন, তাদের বলব ফ্রিতে ব্লগিং ওয়েবসাইট খুলুন, সেখানে আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং ও ড্রপ শিপিং করেও ফ্রী ব্লগিং সাইট থেকে আয় করা যায়। এক্ষেত্রে কোন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট করার প্রয়োজন হয় না।
তবে আপনাদের মধ্যে যারা প্রফেশনালি ব্লগিং শুরু করতে চাচ্ছেন, তারাই টাকা ইনভেস্ট করে ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করে শুরু করুন। যদি পরিশ্রম দিয়ে কাজ করতে পারেন, তাহলে ব্লগিং সেক্টরে সফল হতে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবেনা। কারণ আপনারা জানেন, পরিশ্রমীই সফলতার চাবিকাঠি।
৩. ইউটিউব (YouTube)
সম্পূর্ণ ফ্রিতে টাকা ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ইনকাম করার আরেকটি সেরা মাধ্যম হলো ইউটিউব চ্যানেল। আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি youtube চ্যানেল খোলার জন্য কোন ধরনের টাকা খরচ করতে হয় না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
যারা মূলত ভিডিও কনটেন্ট বানাতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম। এই সেক্টরে ইনকামের কোন অভাব নেই, অর্থাৎ আপনি কাজ করলেই এখানে আপনার ইনকাম হবে।
এখানে আপনি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন সহ এফিলিয়েট মার্কেটিং ও ব্যান্ড প্রমোশন এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যার কারণে আমার কাছে মনে হয়েছে বিনা টাকায় ইনকাম করার জন্য এই উপায়টি সবচেয়ে সেরা।
সর্বপ্রথম আপনারা নির্দিষ্ট একটি টপিক সিলেক্ট করুন, যার উপর আপনি ভিডিও বানিয়ে নিয়মিত ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করবেন। এরপর একটি আকর্ষণীয় নাম দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলুন। ইউটিউব চ্যানেল খোলা হলে চ্যানেল ভেরিফিকেশন করুন।
এরপর আপনি নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করতে থাকুন। যদি খুবই আকর্ষণীয় এবং ইউনিক কন্টেন্ট হয় তাহলে খুব দ্রুত অনেক বেশি ভিউজ পাবেন। যার ফলে আপনি খুব কম সময়ে ফ্রিতে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার সুযোগ পাবেন।
ইউটিউব চ্যানেলে বেশ কিছু টপিক বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আপনি এই বিষয়গুলোর উপরে ভিডিও বানাতে পারেন যেমনঃ
- ড্রাই ইলেকট্রনিক্স
- অনলাইন ইনকাম
- ট্রাভেল ব্লগিং
- রান্নার বিষয়ে
- শিক্ষামূলক বিষয়
- টেকনোলজি বিষয়
ইত্যাদি বিষয় ও টপিকগুলো বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যার ফলে আপনি যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও বানান তাহলে প্রচুর ভিউস পাবেন। আর বেশি ভিউজ পেলে অনেক বেশি আয় করা যায়।
৪. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর মার্কেটিং করে ইনকাম করাকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে। অর্থাৎ আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে মার্কেটিং শুরু করলেন।
আর ভালোভাবে মার্কেটিং করতে পারলে কোম্পানিগুলো ভালো পরিমাণ কমিশন প্রদান করে থাকে। যার ফলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রচুর ফলোয়ার থাকতে হয়।
আর আপনি খুব সহজেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক কিংবা ফেসবুক রিলস ব্যবহার করে ফলোয়ার বাড়াতে পারেন। আর একবার ফলোয়ার বাড়লে স্পনসর পোস্ট, ব্র্যান্ড প্রোমোশন এবং অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করে ইনকাম সম্ভব।
এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজ করার জন্য কোন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট বা টাকা খরচ করতে হয় না। বিনামূল্যে একাউন্ট খুলে ফলোয়ার বাড়ানো যায় এবং মার্কেটিং কাজগুলো করা যায়। আর এই কারণেই আমি এই উপায়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
৫. অনলাইন সার্ভে (Online Survey)
সার্ভে বা জরিপ মূলত হল বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা পণ্যের বিষয়ের উপর ফিডব্যাক প্রদান করা। ধরুন একটি কোম্পানি নতুন একটি ডিভাইস তৈরি করল। এখন তারা ডিভাইসের কোয়ালিটি ও গুণগত মান দেখার জন্য গ্রাহকদের দ্বারা টেস্ট করিয়ে থাকে।
তার বেশ কিছু নির্দিষ্ট গ্রাহকদের ডিভাইস গুলো দেয়ার মাধ্যমে টেস্ট নিয়ে থাকে। নির্দিষ্ট গ্রাহক গুলো তাদের ডিভাইস গুলো ব্যবহার করে সার্ভের মাধ্যমে ফিডব্যাক প্রদান করে। এতে করে কোম্পানিগুলো সহজে বুঝতে পারে তাদের প্রোডাক্ট এর মান কতটা উন্নত।
সাধারণত এভাবেই অনলাইন সার্ভেগুলো কাজ করে থাকে। সার্ভে সাইটগুলোতে সাধারণত নির্দিষ্ট প্রশ্ন দেওয়া হয়, সেগুলো পড়ে উত্তর দিতে হয়। আর সার্ভের উত্তর দিয়েই আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।
অনেকেই বিভিন্ন সাইটে সার্ভের উত্তর দিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে পাঁচ ডলার উপার্জন করছে। এই সার্ভে কাজগুলো করার জন্য ইনভেস্টমেন্ট এর কোন প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র সার্ভে করলেই আয় করতে পারবেন। সার্ভেগুলো সাধারণত বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও টপিকের উপর হতে পারে।
সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানিগুলো সাইটের মাধ্যমে সার্ভে নিয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে আমার জানামতে বেশ কিছু জনপ্রিয় সার্ভে করে ইনকাম করার সাইট গুলো হলঃ
- Freecash
- Survey junkie
- Swagbucks
- Toluna Influencers
- InboxDollars
- ySense
- LifePoints
- PrizeRebel
- Google Opinion Rewards
উপরোক্ত সার্ভে সাইটগুলো খুব দ্রুত সময়ে পেমেন্ট প্রদান করে থাকে। আপনি চাইলে ফ্রিতে একাধিক সাইটগুলোতে একাউন্ট খুলে সার্ভে করে আয় করতে পারেন।
৬. আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটিং
যদি আপনি সত্যিকার অর্থে বিনা টাকা ইনভেস্টে অনলাইন থেকে আয় করতে চান, সেক্ষেত্রে কনটেন্ট রাইটিং এর জবগুলো করতে পারেন। বিশেষ করে যদি আপনার লেখার দক্ষতা থাকে তবে কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে সহজেই ইনকাম করতে পারেন।
আপনি চাইলে ক্লায়েন্টদের জন্য ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, SEO কনটেন্ট লিখতে পারেন। Fiverr ও Upwork-এ কনটেন্ট রাইটিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যার কারণে এই সেক্টরটিতে প্রচুর প্রতিযোগিতা রয়েছে।
যারা ভালোভাবে ইউনিক কনটেন্ট লিখতে পারে তারাই এই সেক্টরে বেশিদিন ধরে টিকে থাকতে পারবে এবং লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারবে। কন্টেন্ট রাইটিং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শুরু করা যায়।
আপনি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে সম্পন্ন বিনামূল্যে একাউন্ট খুলে কনটেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি শুরু করতে পারেন। কাস্টমারদের জন্য কনটেন্ট লেখালেখির সার্ভিস শুরু করতে পারেন। এতে করে অনলাইন থেকে ভালো পরিমান ইনকাম করা যায়। কনটেন্ট লেখালেখি করে আয় করার কিছু বাংলাদেশি সাইট গুলো হলঃ
- asprivate
- Trickbd
- Techtunes
- Ordinaryit
- lekhok .me
- Phatokbd
- prothom alo
উপরোক্ত বাংলাদেশী সাইটগুলো সাধারণত কনটেন্ট রাইটিং জব অফার করে থাকে। আপনি তাদের নীতিমালা পড়ে এই কাজের জন্য এপ্লাই করুন। ফ্রিতে কাজটি নিয়ে প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন।
৭. মোবাইল অ্যাপ দিয়ে আনলিমিটেড ইনকাম
বর্তমানে অনেক মোবাইল অ্যাপ আছে যেগুলো ব্যবহারকারীদের রেফার বোনাস, সার্ভে, ভিডিও দেখা কিংবা গেম খেলার বিনিময়ে টাকা দেয়। উদাহরণস্বরূপঃ Google Opinion Rewards, Toluna, Swagbucks, Mistplay ইত্যাদি।
আপনারা চাইলে এই টাইপের অনেকগুলো অ্যাপে একাউন্ট খুলে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন। অ্যাপগুলোতে ইনকাম খুব কম হলেও পেমেন্ট পাওয়া যায়। তাই আপনারা অযথা না বসে থেকে এই ধরনের ফ্রি অ্যাপস গুলোতে কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করতে পারেন।
বিনা টাকায় ইনকাম করা যায় এই অ্যাপগুলো থেকে, তাই আমরা শেয়ার করলাম। আরো কিছু অ্যাপস আছে যেগুলো আপনি গুগল প্লে স্টোর অথবা গুগল ক্রম বাজার থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
উপসংহার
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনা টাকায় আয়ের অনেক সুযোগ রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, এখানে দ্রুত ধনী হওয়ার কোনো শর্টকাট উপায় নেই। আপনাকে ধৈর্য ধরে নিয়মিত কাজ করতে হবে। একবার দক্ষতা তৈরি হলে আপনি দীর্ঘমেয়াদে একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
সর্বশেষ সকলকে বলবো ধৈর্য এবং পরিশ্রম দিয়ে অনলাইন সেক্টরে কাজ করুন অবশ্যই সফল হতে পারবেন। আজ এই পর্যন্ত শেষ করছি। দেখা হবে নতুন একটি ইনকামের আইডিয়া নিয়ে উদ্ভাস আইটি সাইটে।

আমি উদ্ভাস আইটির এডমিন, একজন অনলাইন ইনকাম ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর। অনলাইন আয়ের বাস্তব ও কার্যকরী উপায়, প্রযুক্তির আপডেট এবং ডিজিটাল দুনিয়ার নানা দিক নিয়ে আমি নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। লক্ষ্য একটাই—পাঠকদের জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্য তুলে ধরা।