স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের অন্যতম উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমান সময়ে স্টুডেন্টদের জন্য সেরা ইনকামের পদ্ধতি হলো এই ফ্রিল্যান্সিং। একমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করেই ছাত্র অবস্থায় ভালো পরিমান ইনকাম করা যাবে।
যারা পড়ালেখার পাশাপাশি ইনকাম করার চেষ্টা করতে চান, তারা অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করা শুরু করুন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সঠিকভাবে কাজ করলে ১০০% সফল হওয়া যায়। বিশেষ করে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়গুলোতে খুবই দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ইনকাম করা কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
আপনি নির্দিষ্ট সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করেই উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে ফ্রিল্যান্সিংকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে
যারা স্টুডেন্ট রয়েছেন এবং ১০০% নিশ্চিত ভাবে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে চান, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং হল সবচেয়ে সেরা মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর যেখানে নির্দ্বিধায় নিজের ইচ্ছামত কাজের সার্ভিস দিয়ে আয় করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে উপার্জন করার জন্য প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। বর্তমানে অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ইনকাম করার চেষ্টা করে থাকেন। সেখানে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে মূলত খুবই কম ইনকাম হয়।
আবার অনেক প্ল্যাটফর্মে যারা ইনকামের প্রলোভন দেখিয়ে ইনকাম প্রদান করে না। যার ফলে আমাদের অযথা সময় নষ্ট হয়। তাই এই সকল প্লাটফর্ম গুলো থেকে ইনকাম করার চেষ্টা করা উচিত নয়। তবে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি সরাসরি কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
মাত্র একদিনে ক্লায়েন্টের কাজের সার্ভিস দিয়ে ১০ থেকে ১৫ ডলার অনায়াসেই আয় করে ফেলতে পারবেন। এখানে আপনি কোন ধরনের প্রতারিত হবেন না, বরং নিশ্চিত ভাবে বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করে আয় করতে পারবেন। তবে এখানে একটাই অসুবিধা রয়েছে সেটি হল ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো করতে হলে নির্দিষ্ট স্কিল অর্জন করতে হয়।
যদি আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর একাধিক বিষয়ে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করতে পারবেন। তারা কাজ শেষে আপনাকে বিভিন্ন মাধ্যমে পেমেন্ট প্রদান করবে। মূল কথা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম বিশ্বস্ততার সাথে খুবই দ্রুত সময়ে পেমেন্ট দিয়ে থাকে।
আর এই কারণেই স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের সবচেয়ে সেরা উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। আশা করছি আপনারা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারছেন। এবার চলুন জেনে আসা যাক স্টুডেন্ট অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কোন কাজ করা যেতে পারে।
স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের সেরা ৫টি ফ্রিল্যান্সিং উপায়
আপনাদের মধ্যে যারা লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তারাও চাইলে দিনের কিছু সময় বের করে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে নিজের পকেট খরচ চালাতে পারেন। আমি নিজেই ফ্রিল্যান্সিং এর ব্লগিং সেক্টরে দীর্ঘদিন কাজ করে ইনকাম করে পকেট খরচ চালিয়ে থাকি।
আমাকে এখন আর বাড়ি থেকে হাত খরচ বা পকেট খরচ নিতে হয় না। আমি নিজে নিজেই অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করে আয় করার চেষ্টা করে থাকি।
আমরা এখন এমন কয়েকটি সেরা ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব, যেগুলো আপনি স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় খুব সহজেই করার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন ব্লগিং
ব্লগিং এমন একটি সেক্টর, যেখানে কাজ করার জন্য এমন বেশি দক্ষতার প্রয়োজন নেই। সামান্য কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেই, ব্লগিং সেক্টরে কাজ করে অনলাইন থেকে প্রচুর ইনকাম করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে ব্লগিং এর কাজগুলো বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
কারণ স্টুডেন্টরা লেখাপড়া করার পাশাপাশি মাত্র এক থেকে দুই ঘন্টা সময় ব্যয় করেই ব্লগিং করতে পারছে। ব্লগিং করার জন্য তেমন বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র ব্লগিং কিভাবে করতে হয় এবং কন্টেন্ট কিভাবে লিখতে হয় তা সম্পর্কে জানতে পারলেই ব্লগিং করে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।
অনেকেই প্রশ্ন করেন ব্লগিং কি? ব্লগিং মূলত হল অনলাইনে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করা এবং পাঠকদের সাহায্য করা। এখানে আপনার একমাত্র উদ্দেশ্য থাকবে পাঠকদের সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করা এবং ব্লগিং করে ইনকাম করা।
ব্লগিং সেক্টরে দীর্ঘদিন ধরে ইনকাম করতে চাইলে, রেগুলার সময় মেইনটেইন করে কাজ করতে হয়। আপনাকে দৈনিক আর্টিকেল বা কনটেন্ট লিখে পাবলিশ করতে হবে।
তবে কনটেন্ট বা আর্টিকেল অবশ্যই গ্রাহকদের জন্য উপযুক্ত হতে হবে, তাহলে কনটেন্ট রাইটিং করে পাঠকদের সাহায্য করতে পারবেন এবং পাশাপাশি কিছু পরিমাণ অনলাইন থেকে আর্নিং করতে পারবেন। আমি নিজে ব্লগিং করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি উপার্জন করে থাকি।
আপনারা চাইলে আমার দেখাদেখি ব্লগিং করা শুরু করতে পারেন। এর জন্য প্রথম থেকে আপনারা ব্লগিংয়ের বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। কিভাবে কনটেন্ট লিখতে হয় এবং কিভাবে এসইও করতে হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করবেন।
তাহলে আশা করি আপনি ব্লগিং করে সফল হতে পারবেন। এর পাশাপাশি ব্লগিং সম্পর্কিত বেশি দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হল ইউটিউব দেখে শেখা।
ইউটিউব এ সার্চ করলেই ফ্রি অনেক ক্লাস পাবেন, যেখানে ব্লগিং সম্পর্কিত বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়। আর সর্বশেষ বলবো আপনি যদি সত্যিকার অর্থে স্টুডেন্ট অবস্থায় আয় করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ব্লগিং সেক্টর নির্বাচন করতে পারেন। কারণ এই সেক্টরে কম সময়ে বেশি পরিমাণে আর্নিং করা যায়।
কনটেন্ট রাইটিং বা বাংলা কনটেন্ট রাইটিং
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বর্তমান সময়ে বাংলাতে কনটেন্ট রাইটিং করেও বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে উপার্জন করা যায়। বিশেষ করে যারা ইংরেজিতে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন না, তারাই চাইলে বাংলা ভাষাতে লেখালেখি করে কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস দিয়ে ডেইলি আয় করতে পারেন।
বাংলাদেশে অনেক কন্টেন্ট রাইটিং করার ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস দিয়ে প্রতিনিয়ত ইনকাম করা যাচ্ছে। আপনারা চাইলে লেখালেখি করার ওয়েবসাইট গুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে কন্টেন্ট রাইটিং সার্ভিস প্রদান করতে পারেন।
সেখানে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করে প্রতি মাসে অন্তত 10 থেকে 15 হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কনটেন্ট রাইটিং মূলত হলো অনলাইনে কোন কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা এবং সেই লেখা থেকে ইনকাম করা।
আপনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করলেন এবং সেই লেখাটি কোন ওয়েবসাইটের মালিকের কাছে বিক্রয় করলেন। এভাবেই ইনকাম করা যায়, পাশাপাশি নিজের ওয়েবসাইটে লিখলেও আয় করা সম্ভব।
আপনার যদি এসইও অপটিমাইজ বাংলা কনটেন্ট রাইটিং করার দক্ষতা থাকে তাহলেই বিভিন্ন বাংলাদেশী নিউজ পেপার ওয়েবসাইট গুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন, তারা কনটেন্ট লেখার জন্য প্রচুর জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।
এছাড়াও আমি ইতিমধ্যে অন্য পোস্টে কনটেন্ট রাইটিং করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা যারা প্ল্যাটফর্ম গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইটের অনলাইন ইনকাম ক্যাটাগরিতে ভিজিট করে সাইট গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
আর সর্বশেষ কথা হলো আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন, তাহলে নির্দ্বিধাই কন্টেন্ট রাইটিং সার্ভিসে যোগ দিতে পারেন। আপনার খুব একটা বেশি সময় দিতে হবে না, আপনি যখন হাতে সময় পাবেন তখনই কনটেন্ট লিখতে পারবেন এবং জমা দিতে পারবেন।
কনটেন্ট রাইটিং করার জন্য খুব একটা বেশি সময় প্রয়োজন হয় না, মাত্র ১ ঘণ্টাতেই একটি ভালো মানের কনটেন্ট লেখা যায়। আশা করছি বুঝতে পারছেন কেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই কনটেন্ট রাইটিং স্টুডেন্টদের জন্য সেরা।
গ্রাফিক ডিজাইন
স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরটি বর্তমানে সবচেয়ে সেরা। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরের গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত হল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডিজাইন সম্পর্কিত কাজগুলো করা।
যেমনঃ পোস্টার ডিজাইন , ওয়েবসাইটের লোগো ডিজাইন , ব্যানার ডিজাইন , টি শার্ট ডিজাইন ইত্যাদি সহ আরো অনেক বিষয়ে ডিজাইন সার্ভিস দেওয়া যায়। বর্তমান সময়ে কম সময়ের মধ্যে ডিজাইন সম্পর্কিত সার্ভিস দিয়ে প্রচুর ইনকাম করা যায়।
যার কারণে আমরা যারা স্টুডেন্ট রয়েছি তারা খুব কম সময় ব্যয় করেই গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম করতে পারি। গ্রাফিক্স ডিজাইন রিলেটেড কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে সহজেই পাওয়া যায়।
যদি আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন এর একাধিক বিষয়গুলোতে অধিক দক্ষতা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে বিদেশি ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি পার্মানেন্ট সেক্টর। কারণ যতদিন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থাকবে ততদিন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজগুলো থাকবে।
তাই আপনি নির্দ্বিধায়ই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে শিখতে পারেন এবং ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজগুলো করতে পারেন। বাংলাদেশের অনেক স্টুডেন্ট গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ গুলো সম্পন্ন করে রেগুলার ইনকাম করছে। অনেকেই প্রতি মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার বেশি পর্যন্ত আয় করছে করছে। তাই আপনিও চেষ্টা করতে পারেন।
ভিডিও এডিটিং
স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলোর মধ্যে ভিডিও এডিটিং এর কাজগুলো খুবই সহজ, যদি একবার আপনি সঠিকভাবে শিখতে পারেন। তাহলে এই সেক্টরের কাজগুলো করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইউটিউবের ভিডিও এডিট করা , ইউটিউব শটস ভিডিও এডিটিং করা, বিজ্ঞাপন ভিডিও এডিট করে তৈরি করা ইত্যাদি। এই টাইপের কাজের সার্ভিস গুলো দিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স
ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ইমেইল হ্যান্ডলিং, এক্সেল শিট কাজ করা ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং এর ডাটা এন্ট্রির কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ডাটা এন্টির কাজগুলো করার জন্য টাইপিং করতে হয়, অর্থাৎ আপনি যদি টাইপিং জানেন তাহলে ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করে আয় করতে পারবেন।
এখানে শুধুমাত্র টাইপিং এর কাজগুলো করতে হয়। তবে ইংরেজি ভাষাতে দক্ষতা থাকতে হয়, কারণ বেশিরভাগ কাজগুলো ইংরেজিতে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনার ইংরেজি ভাষা জানার পাশাপাশি টাইপিং জানতে হবে। স্টুডেন্টরা এই কাজটি সহজেই করতে পারবেন।
আপনার যদি মোবাইল বা কম্পিউটার থাকে তাহলে সেটি ব্যবহার করেই টাইপিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। প্রথম প্রথম টাইপিং স্পিড কম হবে, এরপর প্রতিদিন প্র্যাকটিস করলে আপনার টাইপিং স্পিড ফাস্ট হবে। সেক্ষেত্রে আপনি ডাটা এন্টির কাজগুলো খুব দ্রুত করে আয় করতে পারবেন।
অনেকেই মনে করেন এই কাজগুলো সহজে পাওয়া যায় না। তাদেরকে বলব ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম সহ সরাসরি অফিসে গিয়েও করতে পারবেন। অনেক সরকারি অধিদপ্তরে ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়, যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টাইপিং স্পিড এর উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আপনি সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাপ্লিকেশন করে জব পরীক্ষা দিয়ে ডাটা এন্ট্রি চাকরি নিতে পারেন। এছাড়াও ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং এর প্ল্যাটফর্ম গুলোতে একাউন্ট খুলে ডাটা এন্টির জবের জন্য এপ্লাই করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে প্রচুর ডাটা এন্ট্রির কাজ রয়েছে।
তাই আপনার জন্য প্রথমদিকে কাজ পাওয়া খুবই সহজ হবে। স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং কেন সেরা আশা করছি কিছুটা ধারণা পেয়েছেন।
শেষ কথা
স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে শুরু করলেও, সরাসরি সফল হওয়া যায় না। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সফল হতে হলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলোতে প্রচুর দক্ষতা থাকতে হয়। পাশাপাশি ধৈর্য ও পরিশ্রম থাকলেই ছাত্র অবস্থাতেই ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়।
আমি নিজেই ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করে থাকি। তাই আপনারা চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি আমার মত ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারেন। সর্বশেষ একটা কথা বলব আপনি যদি ধৈর্য ধরে স্কিল শিখে নিয়মিত প্র্যাকটিস করেন, তবে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে সফল হতে পারবেন।

আমি উদ্ভাস আইটির এডমিন, একজন অনলাইন ইনকাম ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর। অনলাইন আয়ের বাস্তব ও কার্যকরী উপায়, প্রযুক্তির আপডেট এবং ডিজিটাল দুনিয়ার নানা দিক নিয়ে আমি নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। লক্ষ্য একটাই—পাঠকদের জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্য তুলে ধরা।