কোন অ্যাপ রিয়েল টাকা দেয়?

বর্তমানে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা আয় করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। অনেকেই জানতে চান, “কোন অ্যাপ রিয়েল টাকা দেয়?” এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বুঝতে হবে।

ইন্টারনেটে হাজারো অ্যাপ পাওয়া যায়, তবে সব অ্যাপ সত্যিকারের টাকা দেয় না। আজ আমরা এমন কিছু নির্ভরযোগ্য অ্যাপ নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আসল টাকা আয় করতে পারবেন।

কোন অ্যাপ রিয়েল টাকা দেয় 

ইন্টারনেটে সার্চ করলে তো আপনি প্রচুর অ্যাপ পেয়ে যাবেন, যেগুলো ইনকাম দেওয়ার দাবি করে থাকে। তবে সত্যিকার অর্থে কোন অ্যাপ রিয়েল টাকা দেয় তা সহজে বুঝতে অবশ্যই অ্যাপটি ব্যবহার করতে হবে এবং অ্যাপের রিভিউ , ফিডব্যাক দেখতে হবে।

তাহলে বোঝা যাবে কোন অ্যাপ সত্যিকার অর্থে ইনকামের সুযোগ দেয়। তবে আপনারা চিন্তা করবেন না আমরা আপনাদের জন্য আর্টিকেলটিতে সত্যিকার অর্থে কোন অ্যাপ রিয়েল টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেয় তা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।

আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম বিডি পেমেন্ট বিকাশে নিন সহজে

আরো পড়ুনঃ নগদ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

মূলত আমরা অনেকগুলো সম্পর্কে জানাবো যেগুলো সত্যিকারের টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেয়। নিম্নে সত্যিকার অর্থে রিয়েল টাকা ইনকাম করা যায় এই ধরনের অ্যাপস গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

১. Google Opinion Rewards

Google Opinion Rewards হলো একটি বিশ্বস্ত অ্যাপ, যেখানে ব্যবহারকারীরা ছোট ছোট সার্ভে পূরণ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই অ্যাপটি ১০০ পার্সেন্ট বিশ্বস্ত, কারন এটি google এর একটি সার্ভে apps, যেখানে গ্রাহকরা অ্যাপটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের রিভিউ প্রদান করে ও সার্ভের উত্তর দিয়ে টাকা উপার্জন করে থাকে।

পেমেন্ট মাধ্যমঃ Google Play Credit/PayPal 

এই অ্যাপটি থেকে সরাসরি হয়তো আপনি টাকা নগদে বা বিকাশে তুলতে পারবেন না। তবে অন্যান্য পেমেন্ট পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করা যাবে। এখানে যেহেতু গিফট কার্ড ও ডলার হিসেবে পেমেন্ট করা হয় সেক্ষেত্রে আপনি পেপাল এর মাধ্যমে ডলারটি উত্তোলন করতে পারবেন। তবে গিফট কার্ডের মাধ্যমেও টাকা পেমেন্ট নেওয়া সম্ভব। 

২. Upwork (ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ)

যদি আপনার দক্ষতা থাকে (যেমনঃ গ্রাফিক ডিজাইন, লেখালেখি, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি), তাহলে Upwork একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম। এখানে কাজ পেলে আপনি সরাসরি ব্যাংকে বা Payoneer-এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।

Upwork অ্যাপটি ব্যবহার করে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করেই আয় করতে পারবেন। মূলত যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন অথবা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে দক্ষ তারাই এই অ্যাপটিতে কাজ করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আমার জানামতে অনেক যুবক ছেলে মেয়েরা এই অ্যাপটি থেকে বর্তমানে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার উপরে আয় করছে। এজন্য সকলকে বলবো প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং সঠিকভাবে শিখুন এরপর ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন। 

পেমেন্ট মাধ্যমঃ PayPal, ব্যাংক ট্রান্সফার, Payoneer 

আরো পড়ুনঃ  গেম খেলে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় জেনে নিন

৩. Toloka (ইয়ানডেক্সের অ্যাপ)

Toloka মূলত ইয়ানডেক্স প্রতিষ্ঠানের একটি মাইক্রো ট্যাক্স প্লাটফর্ম, যেখানে মাইক্রো জব সম্পর্কিত কাজ গুলো করে আয় করা যায়। এই প্লাটফর্ম বা অ্যাপটিতে প্রচুর ছোট ছোট কাজ পেয়ে যাবেন যেগুলো মোবাইল অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করে সহজে করা যায়।

এই ছোট ছোট কাজগুলো যেকোন ব্যক্তি করতে পারবে কারণ কাজগুলো করার জন্য তেমন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।

শুধুমাত্র স্মার্টফোন থাকলে সেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে অ্যাপটিতে একাউন্ট খুলে তাদের দেখার নির্দেশ অনুযায়ী কাজগুলো সম্পন্ন করলেই কিছু টাকা উপার্জন করা যায়। এখানে বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো ট্যাক্স করতে হয় যেমনঃ ডাটা বিশ্লেষণ , ডাটা এন্ট্রি , ক্যাপচা এন্ট্রি, ইমেজ লেভেলিং ইত্যাদি। 

পেমেন্ট মাধ্যমঃ PayPal, Skrill 

৪. Remotasks

এটি একটি মাইক্রো টাস্ক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি ছবি এনোটেশন, ডাটা লেবেলিং ইত্যাদির কাজ করতে পারেন। নতুনদের জন্য উপযুক্ত একটি অ্যাপ। যারা নতুন মাইক্রো জব কাজগুলো করতে চাচ্ছেন তারা এই অ্যাপটি ব্যবহার করে কাজ করে কিছু টাকা আয় করতে পারেন। এখানে যেহেতু ডলারে টাকা ইনকাম হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে পেপালের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন বা টাকা পেমেন্ট নিতে হবে। 

পেমেন্ট মাধ্যমঃ PayPal 

৫. Sweatcoin (ওয়াকিং অ্যাপ)

Sweatcoin হলো এমন একটি অ্যাপ, যা ব্যবহারকারীদের হাঁটার বিনিময়ে রিওয়ার্ড দেয়। আপনি বেশি হাঁটলে বেশি Sweatcoin পাবেন, যা PayPal ক্যাশ বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা যায়। তবে এটি থেকে সরাসরি ইনকাম করা যাবে না।

এর জন্য হয়তো আপনাকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এই অ্যাপটির মধ্যে থাকা কয়েনগুলো আনলক হতে অনেক সময় লাগে। অর্থাৎ তারা এখন পর্যন্ত পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেনি। তবে ভবিষ্যতে তারা পেমেন্ট সিস্টেম চালু করলে হয়তো আপনি এখান থেকে পেমেন্ট পেতে পারবেন। 

পেমেন্ট মাধ্যমঃ PayPal, গিফট কার্ড 

৬. CashZine

CashZine এমন একটি অ্যাপ যেখানে আপনি আর্টিকেল পড়ে বা নিউজ পড়ে সেগুলো শেয়ার করে রিওয়ার্ড পেতে পারেন। এখানে আপনি অ্যাপটিতে যত বেশি পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।

তবে পয়েন্ট অনুযায়ী ইনকাম খুব কম দিয়ে থাকে। আর এখান থেকে পেমেন্ট পাওয়ার একমাত্র পদ্ধতি হলেও পেপাল, যদি আপনার পেপাল একাউন্ট থাকে তাহলেই আপনি এই অ্যাপস থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। 

পেমেন্ট মাধ্যমঃ PayPal

৭. ClipClaps

ClipClaps হলো একটি ভিডিও দেখার অ্যাপ, যেখানে ভিডিও দেখলে এবং গেম খেলে ইনকাম করা যায়। তবে এই অ্যাপটিতে বর্তমানে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে আপনি আরো বিভিন্ন মাধ্যমে টাক্স গুলো সম্পন্ন করে আয় করতে পারবেন।

এখানে ইনকাম করা অর্থ সরাসরি ডলারে একাউন্টে জমা হয়। আপনি গেম খেলা ছাড়াও প্রতিদিন লটারি ও কুইজ খেলেও এই অ্যাপস থেকে আয় করার সুযোগ পাবেন। আর এখান থেকে ইনকাম করা টাকা PayPal এর মাধ্যমে উত্তোলন করা সম্ভব।

৮. Mistplay (গেম খেলে আয় করুন)

এটি একটি জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যেখানে গেম খেলার মাধ্যমে উপার্জন করা যায়। যারা গেম খেলতে পছন্দ করেন তারাই চাইলে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে প্রতিদিন গেম খেলেই পয়েন্ট অর্জন করে আয় করতে পারেন।

গেম খেলে এই অ্যাপটি রিওয়ার্ড দিয়ে থাকে। এখানে গেম খেলে আপনাকে প্রচুর পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হবে। বেশি পয়েন্ট সংগ্রহ করলে হয়তো আপনি বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

এর জন্য অ্যাপটিতে বেশি বেশি গেম খেলুন এবং রেফার করুন, কারন রেফার করলে বেশি বোনাস পাওয়া যায়। তাদের রেফারেল প্রোগ্রাম চালু আছে। বন্ধু ও পরিচিতদের সাথে রেফার করে রেফার বোনাস নিয়ে ইনকাম করুন। 

আরো পড়ুনঃ  শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এর তালিকা

পেমেন্ট মাধ্যমঃ PayPal, গিফট কার্ড 

৯. Fiverr – কোন অ্যাপ রিয়েল টাকা দেয়

আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তারা নিশ্চয়ই জানেন ফাইবার অ্যাপটি কি, ফাইবার হল ফ্রিল্যান্সিং করার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ও অ্যাপস। এই অ্যাপটিতে আপনি নিজের দক্ষতা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করে ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

যেহেতু এটিতে বিকাশ ও নগদ পেমেন্ট সিস্টেম সাপোর্ট করে না সেক্ষেত্রে আপনাকে পেপাল অথবা অন্যান্য মাধ্যমে ডলারে পেমেন্ট নিতে হবে। নতুনদের জন্য এটি একটি খুবই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ও অ্যাপস, কারণ এই অ্যাপসে নতুনদের জন্য কাজ পাওয়া খুবই সহজ।

এই অ্যাপটি নতুনদের জন্য কাজ পেতে অনেক সুবিধা প্রদান করে থাকে। নতুনরা চাইলে এই বিশ্বস্ত একটিতে একাউন্ট খুলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে সরাসরি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এখানে ঘন্টা ভিত্তিক ও প্রজেক্ট ভিত্তিক টাকা উপার্জন করার সুবিধা আছে।

সর্বনিম্ন ১০ ডলার এই প্লাটফর্ম থেকে আয় করা যাবে, তাই অযথা ঘরে না বসে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ফাইবার থেকে আয় করুন। 

পেমেন্ট মাধ্যমঃ PayPal, ব্যাংক ট্রান্সফার, Payoneer 

১০. Big Time Cash

এটি একটি গেমিং অ্যাপ, যেখানে গেম খেলে টিকিট সংগ্রহ করা যায় এবং লটারি জেতার মাধ্যমে নগদ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। যারা গেম খেলতে ভালবাসেন তারা এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত সময় থাকে তাহলেই এই ধরনের অ্যাপ গুলো ব্যবহার করুন।

কারণ এই ধরনের অ্যাপ গুলো থেকে খুব একটা বেশি আয় করা সম্ভব হয় না। খুবই সামান্য পরিমাণে ইনকাম হয়। তাই যাদের হাতে সময় আছে তারাই এখান থেকে আয় করুন। 

পেমেন্ট পদ্ধতিঃ PayPal

১১. Foap (ফটো বিক্রির অ্যাপ)

Foap হলো এমন একটি অ্যাপ, যেখানে আপনি আপনার তোলা ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। প্রতিটি বিক্রিতে আপনি ৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। যেসব ব্যক্তিরা মোবাইল ব্যবহার করে ছবি তুলতে পছন্দ করে তারা কিন্তু চাইলে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারেন।

তবে তাদের নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে সেই অনুযায়ী ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। আপনার ছবি যতবার বিক্রি হবে ততবার আপনি কমিশন হিসেবে আয় করতে পারবেন। 

পেমেন্ট মাধ্যমঃ PayPal 

১২. Lucky Day

এটি মূলত অনলাইন ফ্রি লটারি খেলার অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের গেম খেলে ও লটারি করে টাকা জিতে নিতে পারেন। মূল কথা হলো এই অ্যাপটি হলো লটারি ও স্ক্র্যাচ কার্ড অ্যাপ,

যেখানে প্রতিদিন আপনি কার্ড স্ক্র্যাচ করে ও লটারি করে আয় করা শুরু করবেন। পাশাপাশি কিছু ছোট ছোট গেম আছে যেগুলো খেলে পয়েন্ট অর্জন করে আয় করা যায়। এখান থেকে পেমেন্ট পাওয়ার দুটি পদ্ধতি আছে সেটি হলোঃ PayPal, গিফট কার্ড। 

১৩. Swagbucks Live

কোন অ্যাপ রিয়েল টাকা দেয় এ প্রশ্নটি যদি করে থাকেন, তাহলে বলবো Swagbucks অ্যাপটিতে কাজ করুন। এই অ্যাপটি সত্যিকারের অর্থে রিয়েল পেমেন্ট দিয়ে থাকে। Swagbucks Live হলো একটি লাইভ কুইজ অ্যাপ, যেখানে কুইজের সঠিক উত্তর দিলে পুরস্কার হিসেবে টাকা জেতা যায়।

এখানে আপনি পেপাল সহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এখান থেকে ইনকাম করার অনেক সুযোগ আছে যেমন আপনি এখানে ভিডিও দেখে অথবা বিজ্ঞাপন দেখে আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি সার্ভে করেও টাকা ইনকাম করার ফিচার রয়েছে। তাদের পেমেন্ট পদ্ধতি হলোঃ PayPal, গিফট কার্ড। 

আরো পড়ুনঃ  প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন সেরা ২৫টি উপায়ে

১৪. Work up job – কোন অ্যাপ রিয়েল টাকা দেয়

যদি সরাসরি ইনকাম করে নগদ ও বিকাশ এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে চান সেক্ষেত্রে বর্তমানে খুবই একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম বা অ্যাপস হলো Work up job, এটি একটি বাংলাদেশি অনলাইন ইনকাম করার অ্যাপস।

তাদের অফিসিয়াল সাইট আছে যেখানে আপনি রেজিস্ট্রেশন করে বিভিন্ন করে টাক্স কমপ্লিট করে আয় করতে পারবেন। এখানে যে কাজগুলো দেওয়া হয় সেগুলো আপনি মোবাইলে বা কম্পিউটারে করতে পারেন, তবে যাদের মোবাইল আছে তারা সহজে এই কাজগুলো করতে পারবেন।

কারণ এখানে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন বড় ধরনের কাজ দেওয়া হয় না। ছোট ছোট মাইক্রো ট্যাক্স গুলো করে ইনকাম করতে হয়, আর এই মাইক্রো ট্যাক্স স্মার্ট ফোনে সহজেই করা যায়। অ্যাপটিতে কাজ করার জন্য তাদের নীতিমালা গুলো পড়বেন। তাদের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করলে অবশ্যই পেমেন্ট পাবেন।

পেমেন্ট পদ্ধতিঃ বিকাশ , নগদ , রকেট , বাইনান্স 

১৫. Wild cash -রিয়েল টাকা ইনকাম অ্যাপ 

রিয়েল টাকা ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপস হলো ওয়ার্ল্ড ক্যাশ। এই অ্যাপ থেকে প্রতিদিন মাইনিং করার মাধ্যমে ইনকাম করা যাবে। এখান থেকে ইনকাম করার কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা আমরা এখন আপনাকে সকল কিছু বুঝিয়ে দেবো।

এই অ্যাপ থেকে আয় করার জন্য সর্বপ্রথম গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন এবং একাউন্ট খুলে নিন। এই অ্যাপটিতে কাজ হলেও প্রতিদিন মাইনিং করা এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কয়েন কালেক্ট করা। এখানে তাদের নির্দিষ্ট কয়েন আছে সেগুলো কালেক্ট করতে হয়।

যদি আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন ৮ লক্ষ কয়েন জমা হয়ে যায় তখন আপনি সেগুলো উইথড্র করতে পারবেন। আমি নিজে এই অ্যাপটি ব্যবহার করেছি, এখানে ৮ লক্ষ কয়েন করতে সাধারণত ৩ থেকে ৫ দিন সময় লাগতে পারে। আপনার কাজ হল প্রতিদিন অ্যাপে লগইন করে মাইনিং চালু করা।

তবে তাদের লাইভ কুইজ অপশন আছে যেখানে প্রচুর কয়েন কালেক্ট করা যায়। ৮ লক্ষ কয়েন জমা হয়ে গেলে আপনি বাইন্যান্স এর মাধ্যমে ডলারের পেমেন্ট নিতে পারবেন। তারা সাধারণত ৮ লক্ষ কয়েন এর বিনিময়ে দুই ডলার দিয়ে থাকে।

আমি নিজে এই অ্যাপটি থেকে সর্বোচ্চ ২ ডলার আয় করতে পেরেছি। তবে আমার জানামতে অনেকেই এই অ্যাপটি থেকে ১০০০ থেকে ২ হাজার টাকা ইনকাম করেছে। তবে আপনি চাইলে ট্রাই করে দেখতে পারেন। এখানে কোন কাজ নেই শুধুমাত্র মাইনিং করে ইনকাম করা। 

গুরুত্বপূর্ণ টিপস ও সতর্কতা

যদি কোন অ্যাপ বলে যে অল্প সময়ে অনেক টাকা আয় করার সুযোগ দিবে, তাহলে সে সকল অ্যাপসগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এই সকল অ্যাপসগুলোর সাধারণত ভুয়া ও নকল হয়ে থাকে, তারা ইনকামের প্রলোভন দেখিয়ে কাজ করিয়ে পেমেন্ট দেয় না।

এজন্য এই সকল সন্দেহজনক অ্যাপস থেকে দূরে থাকবেন। যেকোনো apps ব্যবহার করা পূর্বে তাদের বিশ্বস্ত পেমেন্ট অপশন আছে কিনা যাচাই করে নিবেন।

আর সর্বশেষ যেকোনো অ্যাপস সম্পর্কে জানতে Google Play Store বা App Store এ গিয়ে রিভিউ ও ব্যবহারকারীদের মন্তব্য পড়বেন। যদি ভালো রিভিউ পান তাহলে সেই অ্যাপসগুলো ব্যবহার করতে পারেন

উপসংহারঃ কোন অ্যাপ রিয়েল টাকা দেয়

বর্তমানে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টাকা উপার্জন সম্ভব, তবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা। যদি আপনি নিয়মিত সময় দিতে পারেন, তাহলে নির্ভরযোগ্য অ্যাপ থেকে ভালো উপার্জন করা সম্ভব।

আর আপনি যদি সত্যিকারের টাকা আয় করতে চান, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ (যেমন: Upwork, Fiverr), মাইক্রো টাস্ক অ্যাপ (যেমন: Toloka, Remotasks) এবং প্যাসিভ ইনকামের অ্যাপ (যেমন: Honeygain) ব্যবহার করতে পারেন। , তবে আমরা আর্টিকেলটিতে রিয়েল টাকা আয় করার ১৫টি বিশস্ত অ্যাপ সম্পর্কে তুলে ধরেছি যেখানে কাজ করে ইনকাম করা যাবে।  

1 thought on “কোন অ্যাপ রিয়েল টাকা দেয়?”

Leave a Comment