বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে হয়তো অনেকেই ভালোমতো জানেন না। যার কারণে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আপনাদের কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। সামনে শীতকালে আসছে, সকলেরই জ্বর সর্দি কাশি লেগে থাকে।
বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যে জ্বর সর্দি কাশি অসুখটি বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে আপনাদের সঠিক ওষুধগুলো জেনে বাচ্চাদের খাওয়াতে হবে। তাহলে সহজেই আপনি বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশি থেকে নিরাপদে রাখতে পারবেন।
বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে যা জানবো
বাচ্চাদের বিভিন্ন সময়ে সর্দি কাশি লেগেই থাকে। বিশেষ করে শীতকালে ঠান্ডার সময় বাচ্চাদের ঠান্ডাতে সর্দি কাশি হয়ে থাকে আবার অনেক সময় জ্বর হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বাচ্চার দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।
বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ঠান্ডার প্রভাব বেশি হয়ে থাকে। তবে বাচ্চাদের যদি ঠান্ডা লেগে যায় তাহলে আপনি কিছু এন্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়ার মাধ্যমে ঠান্ডা কাশি সারাতে পারবেন।
অবশ্যই পড়বেনঃ
যা আমরা আজকের পোস্টটিতে বাচ্চাদের জন্য সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম ও বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে আলোচনা করব।
এই ওষুধগুলো বাচ্চাদের খাওয়ালে তাদের সর্দি কাশি সেরে যাবে। চলুন আমরা এবার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। অবশ্যই ওষুধগুলো খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ বিভিন্ন বয়সের বাচ্চার জন্য আলাদা আলাদা আলাদা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিতে হয়।
বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক
বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক গুলো সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা না থাকলে। এখন আপনি বিস্তারিত ওষুধ গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। বাচ্চাদের জ্বর ও সর্দি নিরাময় করার জন্য অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে।
এর মধ্যে কিছু এন্টিবায়োটিক জাতীয় তরল ওষুধ আছে, যেগুলো বাচ্চাদের সেবন করালে বাচ্চারা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যেসব বাচ্চারা জ্বর সর্দি ও কাশিতে ভুগছেন তাদের জন্য এই এন্টিবায়োটিক গুলো খুবই কার্যকরী। নিম্নে এন্টিবায়োটিক ওষুধ গুলোর তালিকা দেওয়া হলঃ
- নাপা 50 মিলি
- নাপা 60 মিলি
- Xcel 100 মিলি
- দ্রুত 60 মিলি
- Xcel 60ml
- নাপা 100 মিলি
- Xcel 120 মিলি
- Ace 60 মিলি
- Ace 100 মিলি
- Cef-3
তাহলে আশা করছি আপনারা বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির ওষুধের নাম জানতে পারলেন। এখন আপনি ডাক্তার অথবা ফার্মাসিস্ট এর নিকট পরামর্শ নিয়ে উক্ত ওষুধগুলো সেবন করাতে পারেন। অবশ্যই বাচ্চার বয়স অনুযায়ী ঔষধ সেবন করাতে হবে। অযথা যেকোনো ধরনের ওষুধ সেবন করানো থেকে বিরত থাকবেন।
বাচ্চাদের কাশির ওষুধের নাম
বাচ্চাদের ঠান্ডা সময়ে অনেক সময় কাশি হয়ে থাকে। যার ফলে বাচ্চাদের অনেক অস্বস্তি হয়ে থাকে। বাচ্চাদের যদি কাশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি বাচ্চাদের কাশির ওষুধ খাওয়াতে পারেন। যার ফলে তাদের কাশি সেরে যাবে। এজন্য আপনাদের বাচ্চাদের কাশির ওষুধের নাম জেনে নেওয়া উচিত। নিম্নে বাচ্চাদের কাশির ওষুধের নাম গুলো তুলে ধরা হলোঃ
- তুশকা প্লাস
- রেমোকফ
- বোক্সল
- মধুভাস
- ওকফ
- এবেক্স
- এডোভাস
- এমব্রক্স
- নেকটার
এই ওষুধগুলো একজন ডাক্তার অথবা ফার্মাসিস্ট এর নিকট পরামর্শ নিয়ে সেবন করাতে পারেন। বাচ্চার বয়স অনুযায়ী সেবন করাবেন। সে ক্ষেত্রে ওষুধ গুলো খুবই কার্যকরী ভাবে কাজ করবে। সর্বশেষে বলবো বাচ্চাদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করাবেন।বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক গুলো খাওয়াবেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম
জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম গুলো সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। যারা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন তারা এখন ভালো করে পড়ুন। জ্বর ও সর্দি কাশির জন্য অনেক ধরনের এন্টিবায়োটিক ওষুধ রয়েছে যেগুলো আপনারা সেবন করতে পারেন। নিম্নে ওষুধ গুলোর তালিকা দেওয়া হলঃ
জ্বরের ট্যাবলেটের নামঃ
- Napa Extra
- Xcel Plus
- Xcel
- Fast Plus
- Fast
- Ace Plus
- Ace
- Napa Extend
জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নামঃ
- Azin 500 mg
- Azin 250 mg
- Adiz 250 mg
- AZ 250 mg
- Adiz 500 mg
কাশির ট্যাবলেট নামঃ
- Brolyt (4mg)
- Acorex (15mg)
- Keto A 100
- Fexo 120
- Klarix
- Ambrox 75 SR
সর্দির ট্যাবলেটের নামঃ
- হিস্টাসিন
- হিস্টালেক
- নিওসিলর
- ডেসলর
- ফেক্সো
তাহলে দেখতে পেলেন সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম। যেগুলো সেবন করলে আশা করছি আপনাদের সর্দি কাশি সেরে যাবে। আর অবশ্যই এগুলো ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন ওষুধ খেতে হয়।
তাই আপনার জন্য কোন ওষুধটি উপযুক্ত সেটি ডাক্তারের কাছে জেনে খাবেন। বা ফার্মেসিতে যারা বিক্রি করে তাদের কাছ থেকে শুনে খেতে পারেন।
বাচ্চাদের সর্দি কাশির ঔষধের নাম
বর্তমানে বাচ্চাদের জন্য বেশ কিছু সর্দি কাশির ওষুধ রয়েছে। এই ওষুধগুলো বাচ্চাদের সেবন করালে দ্রুত অসুখ সেরে যায়। চলুন নিম্নে বাচ্চাদের সর্দি কাশির ঔষধের নাম গুলো দেখে আসা যাক।
বাচ্চাদের সর্দি কাশির ঔষধের নাম |
Tusca plus – (তুসকা প্লাস) |
E- cof – (ই- কফ) |
Ambrox – (এমব্রক্স) |
Adolef – (এডোলেফ) |
Adovas – (এডোভাস) |
Madhuvas – (মধুভাস) |
Abex – (এবেক্স) |
Remocof – (রেমোকফ) |
E- cof (ই- কফ)
বাচ্চাদের সর্দি কাশির ওষুধ হিসাবে এডুক লিমিটেড কোম্পানির ই- কফ এন্টিবায়োটিক ওষুধটি খাওয়াতে পারেন। এটি বাচ্চাদের সর্দি কাশি নিরাময়ে অধিক কার্যকরী। বিশেষ করে এই ওষুধ খাওয়ানোর ফলে বাচ্চাদের আরামদায়ক শান্তিময় ঘুম হয়ে থাকে।
এই সিরাপটি বাচ্চাদের জমে থাকা কাশি নিরাময়ে সহায়তা করে। এই সিরাপটি আপনি বিভিন্ন ফার্মেসির দোকানে বা ওষুধের দোকানে এবং অনলাইনে পাবেন।
আপনি ওষুধের দোকানে ১০০মিলি ৮০ টাকায় পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ বলতে গেলে ই- কফ এই ওষুধটির দাম ৮০ টাকা ১০০মিলি.। তাই বাচ্চাদের যদি সর্দি কাশি লেগে থাকে তাহলে আপনারা নিশ্চিন্তে এই সিরাপটি খাওয়াতে পারেন।
Ambrox – (এমব্রক্স)
এটি হলো স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির বাচ্চাদের কাশির সিরাপ। সাধারণত শিশুদের সর্দি কাশির ওষুধের মধ্যে এমব্রক্স সিরাপটি অধিক কার্যকর।
এই সিরাপটি বিশেষ গুণ হলো শিশুদের ক্ষেত্রে বুকে জমে থাকা কফ দূর করতে সাহায্য করে। আপনি ওষুধের দোকানে এই সিরাপটি ৫০ টাকায় ১০০ মিলি পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ বলতে গেলে এমব্রক্স এই ওষুধটির দাম ১০০ মিলি ৫০ – ৬০ টাকা।
Adolef (এডোলেফ)
এটি একটি হারবাল জাতীয় সিরাপ। যেটি বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করতে পারে। এই সিরাপটি মূলত হারবাল ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির তৈরি করা কফ সিরাপ। এ সিরাপটি শিশুদের ঠান্ডা কাশি দূর করে থাকে বিশেষ করে শিশুদের বুকে জমে থাকা কাশি অথবা দূর করে থাকে।
তাছাড়া ও শিশুদের ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও কাশি ভালো করে। আপনারা এই সিরাপটি খাওয়াতে পারেন শিশুদের। এ সিরাপের মূল্য 100 মিলি টা ৬৫ টাকা এবং যেটি ২০০ মিলি তার দাম ১০৫ টাকা।
Madhuvas (মধুভাস)
এটিও একটি অন্যতম জনপ্রিয় বাচ্চাদের কাশির ওষুধ। যা মূলত ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি তৈরি করেছে। এই সিরাপের বিশেষ গুণ রয়েছে যা আমরা এখন জানব। এই সিরাপটি শিশুদের শুকনা কাশি , কাশি , ব্রংকাইটিস , মাথাব্যথা ও জ্বর ইত্যাদি সারাতে অধিক কার্যকরী।
তাই আপনাদের যাদের শিশুদের ঠান্ডা কাশি জ্বর লেগে আছে তারা এই ওষুধটি বা সিরাপটি খাওয়াতে পারেন। এই মধুভাস সিরাপটির দাম ১০০ টাকা।
Adovas (এডোভাস)
এই সিরাপটি বাচ্চাদের বা শিশুদের কাশি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনাদের যাদের শিশুদের সর্দি কাশি হয়েছে তারা এই সিরাপটি খাওয়াতে পারেন। এই সিরাপটি মূলত স্কয়ার কোম্পানির কাশির সিরাপ। যেটি বাচ্চাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
শিশুদের বুকে জমে থাকা কফ দূর করতে ও ঠান্ডা দূর করতে উক্ত সিরাপটি খাওয়াতে পারেন। অবশ্যই খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের নিকট দেখিয়ে পরামর্শ নিবেন। এই সিরাপটির দাম ১০০ মিলি ৭০ টাকা এবং ২০০ মিলির দাম ১১০ টাকা।
Tusca plus (তুসকা প্লাস)
বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরাপ হচ্ছে তুসকা প্লাস। এটি স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি তৈরি করেছে। এটি হলো শিশুদের কফ দূর করার কার্যকরী সিরাপ। যা বর্তমানে অধিক ব্যবহৃত হচ্ছে।
এই সিরাপটি শিশুদের বুকে জমে থাকা কফ দূর করতে এবং শিশুদের আরামদায়ক ঘুমের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করছে। তাই আপনারা শিশুদের এই ওষুধটি বা সিরাপটি খাওয়াতে পারেন। এটি বিভিন্ন ওষুধের দোকানে বা অনলাইনে আপনি পেয়ে যাবেন। এই সিরাপটির দাম ১০০ মিলিঃ ৮৫ টাকা।
Remocof (রেমোকফ)
আপনারা এই সিরাপটিও বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন। এটিও বর্তমানে শিশুদের কফ দূর করার সুপরিচিত কাশির ওষুধ বা সিরাপ। বিশেষ করে এই সিরাপটি বাচ্চাদের শুকনা কাশি দূর করতে অধিক কার্যকরী।
এছাড়াও শিশুর সর্দি কাশি অপসারণ করতে সাহায্য করে। এই সিরাপটির নাম ১১০ টাকা। যা আপনি বিভিন্ন ফার্মাসিটিক্যাল দোকানে পেয়ে যাবেন।
Abex (এবেক্স)
সবচেয়ে সহজলভ্য বাচ্চাদের সর্দি কাশির সিরাপ হল এই এবেক্স। এই সিরাপ এর দাম ৩৫ টাকা। এটি বাচ্চাদের সর্দি কাশি নিরাময়ে কাজ করে থাকে। বর্তমানে এটি অধিক সুপরিচিত লাভ করেছে। এই সিরাপটি জ্বর , সর্দি , কাশি , শুকনা কাশি নিরাময় করে থাকে। আপনারা এটি ব্যবহার করতে পারেন।
বাচ্চাদের সর্দি-কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আপনারা অনেকেই বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় খুঁজে থাকেন। তবে কোথাও সঠিক তথ্য খুঁজে পান না।
তাদের জন্যই আজকের এই অংশে আমরা বাচ্চাদের জন্য সর্দি কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। শিশুদের সর্দি কাশি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
- শীতকালের বাচ্চাদের সব সময় হালকা গরম পানি পান করান এবং ঠান্ডা পানি থেকে দূরে রাখুন। আর যখন খাবার খাওয়াবেন সেই খাবার অবশ্যই হালকা কুসুম গরম করে নিবেন। এতে শিশু শীতকালে সুস্থ থাকবে।
- বাচ্চাদের ঘুমানোর সময় তাদের মাথা উঁচু করে রাখুন। কারণ বাচ্চাদের সর্দি লাগলে সে সর্দি নাক থেকে গলা পর্যন্ত এসে অধিক কাশির সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই সময়ে বাচ্চাদের উঁচু করে অর্থাৎ বাচ্চাদের মাথা উঁচু অবস্থানে রেখে ঘুমাতে দেবেন।
- আপনারা ঠান্ডা সময়ে গরম দুধের সাথে হাফ চা চামচ হলুদের গুড়া মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন। আবার বেশি কাশি বা সর্দি লাগলে গরম পানিতে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে এবং সাথে লবণ মেশিনে গড়গড়া করাতে পারেন। এতে শিশু হালকা শান্তি বা স্বস্তি পাবে।
- শিশুর যদি শুকনো কাশি হয়ে থাকে তাহলে তাকে হালকা গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন এতে করে শুকনো কাশি দূর হয়ে যাবে।
- এছাড়াও হালকা গরম পানিতে এক টুকরা আদা মিশিয়ে এবং এর সাথে হাফ চামচ মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
- এছাড়াও ঠান্ডা কাশি দূর করতে ঘরোয়া উপায় হিসেবে তুলসী পাতার রস বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এটি অধিক কার্যকরী।
- তাছাড়াও অ্যালোভেরার জেল এর সাথে হালকা মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এটি বড় হোক আর ছোট হোক সকল বয়সেই ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনারাও অ্যালোভেরার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
- আর বাচ্চাকে শীতকালে সবসময় গরম জামা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন। যাতে ঠান্ডায় স্পর্শ করতে না পারে। তাই বাচ্চাকে গরম জামা কাপড় পরান।
বাচ্চাদের সর্দি কাশির সিরাপ খাওয়ানোর নিয়ম
- শূন্য থেকে এক বছর বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই বেলা ১/২ চা চামচ সকালে এবং রাত্রে খাওয়াতে হবে।
- আর বাচ্চাদের বয়স যদি এক থেকে তিন বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন দুই বেলা করে সকালে ও রাত্রে এক চা চামচ করে খাওয়াতে হবে।
- আর বাচ্চার বয়স যদি তিন থেকে সাত বছর হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই বেলা সকালে ও রাত্রে দেড় চামচ করে দিতে হবে।
আপনারা কিছুটা হলে নিয়ম জেনেছেন। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই এই নিয়মগুলো সাধারণত ওষুধের প্যাকেটের ভেতরে টাকা কাগজে লেখা থাকে। সেখানে আপনি আরো বিস্তারিত বাচ্চাদের সর্দি কাশি ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম জেনে যাবেন।
উপসংহার
আপনার সন্তান যদি জ্বর সর্দি কাশি অসুখে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক গুলো সেবন করাতে পারেন। তবে যেকোনো ধরনের ওষুধ সেবন করাবেন না।
একজন চিকিৎসক অথবা ডাক্তারের নিকট শরণাপন্ন হয়ে ওষুধগুলো সেবন করান। এতে করে খুব দ্রুত ভালো ফলাফল পাবেন। আপনার বাচ্চা বা সন্তান দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। আর শীতকালে অবশ্যই সাবধান থাকবেন, বাচ্চাদের গরম জামাকাপড় পড়াবেন।

আমি উদ্ভাস আইটির এডমিন, একজন অনলাইন ইনকাম ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর। অনলাইন আয়ের বাস্তব ও কার্যকরী উপায়, প্রযুক্তির আপডেট এবং ডিজিটাল দুনিয়ার নানা দিক নিয়ে আমি নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। লক্ষ্য একটাই—পাঠকদের জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্য তুলে ধরা।