সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ- বিস্তারিত জানুন

বর্তমান যুগে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার অন্যতম উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে আপনি অনলাইনে ঘরে বসে ইচ্ছামত কাজ করে আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই, আপনি যেকোনো সময়ে কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

তবে বেশি ইনকাম করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজগুলো করতে হবে। আর এজন্যই আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের আর্টিকেলে জানাবো। বেশ কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজ রয়েছে যেগুলো বর্তমানে খুব বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

এই কাজগুলো শিখে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে সার্ভিস দেন তাহলে মাস শেষে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এবার চলুন ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজগুলো সম্পর্কে জানা যাক। 

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ

বর্তমানে অনলাইন জগতে আয়ের সবচেয়ে কার্যকর ও জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। অনেকেই জানতে চান সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোনটি? এক কথায় বলা যায়, জনপ্রিয়তা ও চাহিদার দিক থেকে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং কনটেন্ট রাইটিং এই তিনটি কাজ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে।

অবশ্যই পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিন সহজে

অবশ্যই পড়ুনঃ লাইক কমেন্ট করে ইনকাম করার উপায়

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি। ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজগুলো যদি আপনি পরিপূর্ণভাবে শিখতে পারেন তাহলে খুব সহজে মাস শেষে ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব যদি আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের দক্ষতা থাকে। এবার চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক সবচেয়ে জনপ্রিয় ৭টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে। 

১. গ্রাফিক ডিজাইন

আপনাদের মধ্যে নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে চাচ্ছেন, তাদেরকে বলব সর্বপ্রথম গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরটি নতুনদের জন্য অনেকটা সহজ হয়ে দাঁড়ায়।

যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখেন তাহলে প্রথম প্রথম ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি সামান্য ডিজাইন করেই প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ডলার আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর প্রথম অবস্থায় এমন ইনকাম হবে। তবে ধীরে ধীরে আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়তে থাকলে, বড় বড় প্রজেক্ট এর কাজগুলো পেতে পারেন। এতে করে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে প্রতি কাজের সার্ভিস দেওয়ার জন্য পঞ্চাশ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চার্জ দিতে পারেন।

অর্থাৎ আপনি 50000 থেকে 1 লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত এমন একটি সেক্টর যেটা সব ধরনের ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের প্রয়োজন হয়। প্রায় সকল সেক্টরে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রয়োজন রয়েছে। যেমন ধরুন আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুললেন।

আরো পড়ুনঃ  কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় বিকাশে

সে ক্ষেত্রে ইউটিউবের ভিডিওতে আকর্ষণীয় থাম্বনেইল সেট করার জন্য ডিজাইন করতে হয়। আর এই কাজগুলো একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার দক্ষ ভাবে করতে পারে।

এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরের অনেক কাজ রয়েছে যেমনঃ পোস্টার ডিজাইন ,লোগো ডিজাইন ,ব্যানার ডিজাইন ,টি-শার্ট ডিজাইন ,সোশ্যাল মিডিয়া কভার ডিজাইন ,অ্যানিমেশন মেকিং ,আইডি কার্ড ডিজাইন ,বিয়ের কার্ড ডিজাইন ইত্যাদি।

এই কাজগুলোতে যদি আপনার দক্ষতা থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এখনই কাজ করা শুরু করুন। সকল প্লাটফর্ম গুলোতে এই কাজের প্রচুর ডিমান্ড আছে, সরাসরি আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে একাউন্ট খুলে প্রোফাইল সেটআপ করে নিন এবং ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগ করুন।

যদি ভালো করে সার্ভিস দিতে পারেন তাহলে রেগুলার ক্লায়েন্ট পাবেন এবং প্রচুর earning করতে পারবেন। এখন অনেকেই প্রশ্ন করেন গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ কিভাবে শিখব? আপনারা গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ গুলো সাধারণত ইউটিউব দেখে ফ্রিতে শিখতে পারেন।

অনেক গ্রাফিক ডিজাইনার ইউটিউবে ফ্রি কোর্স করিয়ে থাকে, সেগুলোতে জয়েন করুন। অথবা ভালোভাবে শিখতে চাইলে পেইড কোর্স কিনে শিখতে পারেন। তবে আমার মতে ইউটিউব থেকে ফ্রিতে শিখতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের জন্য জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যার যেমনঃ Adobe Photoshop, Illustrator। আর গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের প্লাটফর্ম গুলো হলঃ Fiverr, Upwork, Freelancer। 

২. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ই-কমার্স, ব্লগ, কর্পোরেট ওয়েবসাইট ইত্যাদি সকল সাইট তৈরি করা অথবা আকর্ষণীয় ডিজাইন করার জন্য দরকার হয় একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার। আপনি যদি কোডিং এ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই সেক্টরে জয়েন করতে পারেন। কারণ এই সেক্টরে প্রচুর ইনকাম করা যায়।

আপনি শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইট আকর্ষণীয় ডিজাইন করে তৈরি করে দিয়েই ৫০ হাজার টাকার বেশি উপার্জন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার হতে হবে। ক্লায়েন্ট এর চাহিদা অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।

যদি আপনি এই সেক্টরে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত ক্লায়েন্ট পাবেন। কারণ এই সেক্টরে কাজের চাহিদা প্রচুর। বিশ্বে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যবসা চালু হচ্ছে এবং প্রতিটি ব্যবসার মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকতে হয়।

যার কারণে সকল ব্যবসায়ী ও কোম্পানি নিজেদের একটি আকর্ষণীয় ডিজাইন করা ওয়েবসাইট তৈরি করছে। তারা এই কাজগুলো একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার দ্বারা করিয়ে থাকে।

এই সেক্টরে কাজ করে ইনকাম করতে হলে বেশ কিছু কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজে দক্ষ হতে হবে যেমনঃ HTML, CSS, JavaScript, PHP, WordPress। আর নতুন অবস্থায় আপনি এই সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ ডলার আর্নিং করতে পারবেন।  

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম। অনলাইনে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজন হয়। যার কারণে বর্তমানে এই কাজটির ব্যাপক পরিমাণ চাহিদা রয়েছে।

ধরুন আপনি অনলাইনে ব্যবসা করবেন, সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার প্রচার করতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং জানতে হবে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য নিতে হবে। কারণ একমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য নিয়েই ব্যবসা সহ যেকোন কিছুর প্রচার করা যায়।

আরো পড়ুনঃ  কোড বসিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ৫টি সাইট

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে শুধুমাত্র একটি কাজ আছে এমনটা নয়। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের ক্যাটাগরি অনেক বড়। এই সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যার মধ্যে থেকে যদি আপনি একটি কাজেও দক্ষতা অর্জন করে থাকেন, তাহলে দিনশেষে আপনি 10 থেকে 20 হাজার টাকার বেশি উপার্জন করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের যে কোন একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করলে প্রচুর আর্নিং করা সম্ভব, তাই দেরি না করে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের যে কোন একটি কাজ শিখুন এবং ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে সার্ভিস দিয়ে প্রচুর ইনকাম করুন।

নতুন যারা আছেন তারা যদি সহজে বেশি টাকা আয় করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে শুরু করতে পারেন। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অধীনে জনপ্রিয় কাজ রয়েছে যেমনঃ SEO, Facebook Ads, Google Ads, Email Marketing ইত্যাদি।অনলাইন বিজনেস যত বাড়ছে, এই কাজের চাহিদাও তত বাড়ছে।

৪. কনটেন্ট রাইটিং

যারা লেখালেখিতে দক্ষ, তারা কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করতে পারেন খুব সহজে। বর্তমানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। আর বেশিরভাগ ওয়েবসাইটের মালিক গুলোই নিজেরা কন্টেন্ট রাইটিং করে না, বরং তারা অন্য রাইটার দিয়ে কনটেন্ট লিখিয়ে থাকে।

আর কনটেন্ট লেখানোর বিনিময়ে তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ পেমেন্ট দিয়ে থাকে। যার কারণে কনটেন্ট রাইটিং জবের প্রচুর ডিমান্ড সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে ইংলিশ কনটেন্ট রাইটার এর ব্যাপক চাহিদা আছে।

আপনি যদি শুধুমাত্র ইংরেজিতে আকর্ষণীয় কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন তাহলে মাস শেষে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। এছাড়াও পাশাপাশি বাংলা ভাষায় বিভিন্ন প্লাটফর্মে কন্টেন্ট লেখা যায় এবং সেখান থেকে উপার্জন পর্যন্ত করতে পারবেন।

এখানে বাংলা কনটেন্ট রাইটিং কাজে ইনকাম কম হলেও আপনি ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে পারছেন। কিন্তু সকলেই কনটেন্ট রাইটিং করতে পারবে না, কারণ কনটেন্ট রাইটিং করতে হলে কিছু বিষয়ে জানতে হয়।

এজন্য প্রথমে কনটেন্ট রাইটিং কিভাবে করতে হয় সেটি শিখুন এবং পরবর্তীতে কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে খুব সহজে ইনকাম করুন। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন তাদেরকে বলব যদি সহজ কাজ করতে চান তাহলে বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কাজ শুরু করতে পারেন।

বর্তমানে অনলাইনে একাধিক প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে বাংলা কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস দিয়ে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়। তাই প্রথম দিকে সরাসরি ইনকাম শুরু করতে চাইলে বাংলা কনটেন্ট রাইটিং এর কাজগুলো করতে পারেন।

আর যদি বেশি ইনকাম করতে চান তাহলে ইংরেজি কনটেন্ট রাইটিং করুন, এক্ষেত্রে প্রতি ১০০০ শব্দে $৫ থেকে $৫০ পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। 

৫. ভিডিও এডিটিং

ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম রিলস ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই ভিডিও এডিটরদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।ভিডিও কন্টেন্ট জনপ্রিয় হওয়ার ফলে এই কাজটিও অনেক জনপ্রিয়। যদি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সহজ ভাবে শুরু করতে চান তাহলে ভিডিও এডিটিং কাজ দিয়ে শুরু করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ  ফ্রিতে টাকা ইনকাম ও ওহো অর্থ উপার্জন app সম্পর্কে জানুন

আর এই কাজটি জনপ্রিয় হওয়ার কারণে আপনি সহজেই কাজটি পেতে পারেন। যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সরাসরি বিভিন্ন প্লাটফর্মে একাউন্ট খুলে সার্ভিস দেওয়া শুরু করুন। 

  • ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারঃ Adobe Premiere Pro, Filmora, CapCut
  • ভিডিও এডিটিং কাজগুলো হলোঃ ইউটিউব ভিডিও, প্রমোশনাল ভিডিও, শর্টস
  • আয়ের পরিমাণঃ প্রতি ভিডিও $১০ থেকে $৩০০ পর্যন্ত

৬. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (VA)

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ হল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। এই কাজের মধ্যে রয়েছে ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ক্যালেন্ডার মেইনটেন, রিসার্চ, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।কমিউনিকেশন স্কিল ভালো হলে খুব সহজেই VA হয়ে ইনকাম শুরু করা যায়।

  • প্রয়োজনীয় স্কিলঃ টাইপিং, ইংরেজি, মাইক্রোসফট অফিস
  • মাসিক ইনকামঃ $২০০ – $১০০০+

৭. ডাটা এন্ট্রি ও মাইক্রো টাস্ক

যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করছেন, তারা ডাটা এন্ট্রি বা ছোট ছোট কাজ (Microtasking) দিয়ে শুরু করতে পারেন। এখানে আপনাকে কোনো কোডিং বা গ্রাফিক্স জানার দরকার নেই। শুধুমাত্র টাইপিং স্কিল ও বেসিক জ্ঞান ব্যবহার করে কাজ করতে হবে।

তাহলে এই সেক্টর থেকে উপার্জন করতে পারবেন। ডাটা এন্টি কাজগুলো করা খুবই সহজ, শুধু মাত্র আপনাকে কিছু তথ্য দেওয়া হবে সেখানে তথ্যগুলো দেখে আপনাকে ডিজিটাল ভাবে কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে হবে। আর এর জন্য দ্রুত টাইপিং স্পিড এর দরকার হয়।

যদি আপনি টাইপিং ভালো জানেন এই কাজগুলো অনায়াসেই করতে পারবেন। তাছাড়া ও ছোট ছোট ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো শুরু করতে পারেন, বর্তমানে বেশ কিছু মাইক্রো জব প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে ছোট ছোট ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করে আয় করা যায়।

মাইক্রো জব প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট কোন দক্ষতার প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র আপনার বেশি নলেজ ব্যবহার করে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। 

  • কাজগুলো হলোঃ টাইপিং, রিভিউ লেখা, প্রোফাইল সেটআপ
  • সাইটঃ Microworkers, Clickworker, Remotasks, Fiverr
  • ইনকামের পরিমাণঃ দৈনিক $৫ – $২০ পর্যন্ত

কোন কাজটি আপনার জন্য উপযুক্ত?

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে নিজ আগ্রহ, দক্ষতা ও সময় বিবেচনা করে কাজ বেছে নিতে হবে।যেমনঃ 

  • আপনি যদি ক্রিয়েটিভ হন → গ্রাফিক ডিজাইন/ভিডিও এডিটিং
  • আপনি যদি প্রযুক্তি ভালোবাসেন → ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজটি করুন
  • আপনি যদি লেখালেখি পছন্দ করেন → তাহলে কনটেন্ট রাইটিং আপনার জন্য সেরা
  • আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন → তাহলে ডাটা এন্ট্রি / মাইক্রো টাস্ক কাজগুলো করুন। 

শেষ কথা

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে।বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি এগিয়ে রয়েছে।আপনিও নিজ দক্ষতা অনুযায়ী একটি কাজ বেছে নিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।

Leave a Comment